দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ২০০৯ সালের আগে প্রতিষ্ঠানভেদে সেশনজট ছিল এক থেকে দেড় বছরের। কিন্তু ২০১২ সালের মধ্যে সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই তা উধাও হয়ে যায়। এমনকি সেশনজটের শীর্ষে থাকা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ও ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে দূর করে সেশনজট। কিন্তু চলতি বছর কভিড-১৯-এর ছোবলে উচ্চশিক্ষা আবারও সেই সেশনজটের ফাঁদে পড়তে চলেছে।করোনাভাইরাসের ছোবলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কয়েক মাস টানা বন্ধ থাকায় এবং আবাসিক হলগুলো খালি করে দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা সবাই বর্তমানে যার যার বাড়িতে রয়েছেন। গত আগস্ট থেকে অনলাইনে ক্লাস শুরু হলেও আটকে গেছে শত শত পরীক্ষা। উপাচার্যদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। সংশ্নিষ্ট ডিনরা বলছেন, এখন বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিয়ে কোর্স পড়ানো শেষ করে পরীক্ষা নেওয়া শুরু করলেও অন্তত এক বছরের সেশনজটে পড়তে হবে শিক্ষার্থীদের। কভিড-১৯-এর সংক্রমণ প্রথমবারের মতো সেশনজট সৃষ্টি করেছে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও। কবে নাগাদ আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো নেওয়া শুরু করা যাবে, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে চরম অনিশ্চয়তা। কয়েকজন উপাচার্য সমকালের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাব্যবস্থাকে স্বাভাবিক ও গতিশীল করতে সরকার একের পর এক উদ্যোগ নিয়েছে। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও একইভাবে বিশেষ নজর দিতে হবে।