সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেনে ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়েতাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রির বেশি যেসব অঞ্চলেবিশ্ব ধরিত্রী দিবস আজপ্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: সংশোধিত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৪৬ হাজারসকালের মধ্যে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস
No icon

হাজার কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকি

তথ্য গোপন করে ব্যাংক, বীমা, ইন্স্যুরেন্স খাতের ৩৯ প্রতিষ্ঠান ৯৭৭ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। শুধু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নয়, সরকারি প্রতিষ্ঠানও একই কায়দায় ভ্যাট আদায় করেও সরকারি কোষাগারে তা জমা দেয়নি।ফাঁকির দায় স্বীকার করে ইতোমধ্যে ৯ প্রতিষ্ঠান ১২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা পরিশোধও করেছে। ভ্যাট গোয়েন্দার নিরীক্ষায় উঠে এসেছে এসব অনিয়মের চাঞ্চল্যকর তথ্য।এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ভ্যাট গোয়েন্দার মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বুধবার টেলিফোনে বলেন, গত আড়াই মাসে ৩৯ প্রতিষ্ঠানের বিবরণী নিরীক্ষা করা হয়েছে। আরও অনেক প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষা কার্যক্রম চলমান আছে।সেখান থেকেও মোটা অঙ্কের ভ্যাট ফাঁকি উদ্ঘাটিত হবে বলে আশা করছি। তিনি আরও বলেন, ভ্যাট গোয়েন্দা নতুন করে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। অভিযান, নিরীক্ষার পাশাপাশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে সচেতন করার চেষ্টা করছি।যাতে তারা গ্রাহকদের কাছ থেকে যে ভ্যাট আদায় করেন তা নিয়মমাফিক সরকারি কোষাগারে জমা দেন। এর সুফল তারাই ভোগ করবেন। মইনুল বলেন, সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভ্যাট নেটে এলে রাজস্ব খাতে আমূল পরিবর্তন আসবে।দ্বিতীয় পদ্ধতি প্রয়োগ করে ৩৯ প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট ফাঁকি দেয়ার বিষয়টি উদ্ঘাটিত হয়েছে। দেখা গেছে, নামিদামি অনেক প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বিবরণীর সঙ্গে ভ্যাট রিটার্নের তথ্যে মিল নেই।

এর মধ্যে ফাঁকির দায় স্বীকার করে ৯ প্রতিষ্ঠান ১২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা পরিশোধও করেছে।এগুলো হল- ওয়ান ব্যাংক ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২ কোটি ২৭ লাখ টাকা, বাংলাদেশ রেইস ম্যানেজমেন্ট ১ কোটি ৬২ লাখ টাকা, মুন্নু সিরামিকস ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা, ইউনিভার্সেল রিফাইনারি ১২ লাখ ৩৪ হাজার টাকা, পিএইচপি শিপ ব্রেকিং ইন্ডাস্ট্রিজ ১ কোটি ৮ লাখ টাকা, গ্রান্ড ট্রেডিং এন্টারপ্রাইজ ১৩ লাখ ৪২ হাজার টাকা।এর মধ্যে ওয়ান ব্যাংক, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও বাংলাদেশ রেইস ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড ভ্যাট গোয়েন্দার দাবিকৃত পুরো অর্থই পরিশোধ করেছে।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শুল্ক ও ভ্যাট ফাঁকি ঠেকাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাঠপর্যায়ের অফিসগুলোর পাশাপাশি বিশেষায়িত একাধিক গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠান কাজ করে থাকে।এর মধ্যে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) ছাড়াও শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর এবং ভ্যাট গোয়েন্দা বিভাগ রয়েছে। এসব বিভাগ দেশব্যাপী রাজস্ব ফাঁকি ধরতে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে।এর মধ্যে আকস্মিক অভিযান ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নথিপত্র জব্দ করে বিশেষায়িত নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে। এসব প্রক্রিয়ায় বড় অঙ্কের ভ্যাট ফাঁকি বের হয়েছে।