চুয়াডাঙ্গায় হিট অ্যালার্ট জারিআমিরাতে বৃষ্টিতে গাড়িতে আটকা পড়ে মারা গেলেন দুই জন সেরেলাক-নিডোয় অতিরিক্ত চিনি, পরীক্ষা করবে বিএফএসএজাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ আটকে দিল যুক্তরাষ্ট্রভারতে লোকসভা নির্বাচনের ভোট শুরু
No icon

মানবপাচারে শীর্ষে সুন্দরবন অঞ্চল

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভিটেমাটি ছাড়া হচ্ছেন সুন্দরবন অঞ্চলের মানুষ। আর এ সুযোগটা কাজে লাগাচ্ছে পাচারকারী চক্র। সুন্দরবন ও এর আশপাশের এলাকা থেকে মানবপাচার হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। এর পরই রয়েছে ঢাকা ও সিলেটের অবস্থান। এ ছাড়া পাচারকারীরা মানবদেহের নানা অঙ্গ-প্রতঙ্গ পাচারের অভয়স্থল হিসেবেও বেছে নিচ্ছে বাংলাদেশকে। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন ও কোভিড ১৯-এর পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট মন্দায় হতদরিদ্ররাজাতিসংঘের মাদক ও অপরাধবিষয়ক কার্যালয়ের (ইউএনওডিসি) ২০২২ সালে বার্ষিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে এ মন্তব্য করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) রাজধানীর একটি হোটেলে প্রতিবেদনের বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার আয়োজন করে। গত মঙ্গলবার বৈশ্বিক ওই প্রতিবেদনটি ভিয়েনা থেকে প্রকাশ করা হয়। পর্যালোচনাসভায় শঙ্কা প্রকাশ করা হয়, মানবপাচারকারীরা বর্তমানে বাংলাদেশকে অঙ্গ পাচারের স্পট হিসেবেও বেছে নিয়েছে। এ ভয়াবহ অপরাধ থামাতে কাজ করতে হবে এখনই। মানবপাচার ঠেকাতে বিচার পরিচালনার জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনাল সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলেও মনে করেন বক্তারা।ইউএনওডিসির প্রতিবেদনে, জলবায়ু পরিবর্তনকে মানবপাচারের অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনে মানবপাচার বেড়ে যাওয়ার পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগকে অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে এবং দেশের বাইরে নারী এবং মেয়েশিশুরা পাচার ও যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে।

পাচার ও নিপীড়নের শিকার এসব নারী এবং শিশুদের মধ্যে ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটক ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁদে পড়ার সংখ্যা বাড়ছে। মানবপাচারের ঝুঁঁকিতে আছেন।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী মানবপাচার অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্তের সংখ্যা ২৭ শতাংশ কমেছে। যেটি দক্ষিণ এশিয়ায় কমেছে ৫৬ শতাংশ। এ ছাড়া নিম্ন ও মাঝারি আয়ের দেশগুলোতে কম শনাক্তকরণের কারণে আগের বছরের তুলনায় ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী মানবপাচার অপরাধ শনাক্তের হার ১১ শতাংশ কমেছে। এ ছাড়া করোনা মহামারীর কারণে মানবপাচারের ঝুঁঁকি বেড়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার করা এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষমতা আরও কমেছে। মহামারী চলাকালীন যৌন শোষণের জন্য পাচারের খুব কমঘটনা শনাক্ত হয়েছিল। কারণ পাবলিক স্পেসগুলো বন্ধ ছিল। বিধিনিষেধের কারণে পাচার আরও গোপন হয়েছে এবং ভুক্তভোগীদের অনিরাপদ অবস্থায় ঠেলে দিয়েছে। যার ফলে পাচারের শিকারদের শনাক্ত করা কঠিন হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে ১৪১টি দেশের মানবপাচারবিষয়ক তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে শনাক্ত করা পাচার মামলার ওপর ভিত্তি করে বিশ্বব্যাপী, আঞ্চলিক এবং জাতীয় স্তরে মানবপাচারের নিদর্শন এবং প্রবাহের একটি প্রদান করা হয়েছে