ফরিদপুরের মধুখালীতে শ্যালকদের কোপে দুলাভাই খুন : গ্রেফতার ৩তাপপ্রবাহের কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণাতীব্র তাপপ্রবাহ: ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি ভেজাল নকল পণ্যে সর্বনাশতাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে
No icon

পদ্মাসেতু উদ্বোধনের দিন ট্রেন চালু নিয়ে সংশয়

পদ্মাসেতু প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে ৮৩ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গেছে। সেতুটিতে রেলপথ স্থাপন নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা। মেগা প্রকল্পের এ সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার অন্তত ছয় মাস আগে রেললাইন স্থাপনের কাজ শুরু করতে হবে। তবে সেতুর প্রকল্প কর্তৃৃপক্ষ বলছে, সেতুর কাজ শেষ করার আগে রেললাইন স্থাপনের অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। অন্যদিকে সেতু চালুর আগে সময় না পেলে বেজলাইন সার্ভে নিয়ন্ত্রণ নিয়েও শঙ্কা থেকে যাচ্ছে। এ কারণে সরকার ঘোষিত উদ্বোধনের দিন থেকে ট্রেন চালু নিয়ে সংশয়ে আছে রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। এদিকে আগামী বছরের জুনেই পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে বলা হয়েছে সরকারের সর্বশেষ ঘোষণায়।এর আগেও পদ্মাসেতু প্রকল্পের সঙ্গে রেল সংযোগ প্রকল্পের কার্যক্রমে বিরোধ সৃষ্টি হয়। পদ্মাসেতুর দুই প্রান্তে সংযোগ সড়ক থেকে যানবাহন ওঠার পথে রেলের ভায়াডাক্টের উচ্চতা এবং প্রশস্ততা নকশার চেয়ে কম বলে অভিযোগ করে রেল কর্তৃপক্ষের ওই অংশের কাজ বন্ধ করে দেয় সেতু কর্তৃপক্ষ। পদ্মাসেতু কর্তৃপক্ষের মতে, ভায়াডাক্ট ও পিয়ার-সংক্রান্ত বাধার কারণে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে। তাদের কাজ ছয় মাস বন্ধ থাকে।

পদ্মাসেতু প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম আমাদের সময়কে বলেন, সরকার ঘোষিত সময়ের মধ্যে পদ্মাসেতুর কাজ শেষ করার টার্গেট। এখন পর্যন্ত অগ্রগতি ৮৩ ভাগ। কবে রেললাইন স্থাপনের অনুমতি দেওয়ার সম্ভব হবে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। সেতুর কাজ শেষ করার আগে অন্য বিষয় নিয়ে চিন্তা করা যাবে না। কাজ শেষের ছয় মাস আগে রেলকে তাদের কাজের সুযোগ দিতে হবে, নইলে একই দিনে ট্রেন চলবে না। এ বিষয়ে আমরা মন্তব্য করতে পারব না। আমরা শুধু আমাদের অংশের কাজ দ্রুত শেষ করতে চাই।

জানা গেছে, রেলওয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে- সেতুতে রেললাইন স্থাপনে ন্যূনতম ছয় মাস প্রয়োজন। তাই সেতুতে যান চলাচল শুরুর ছয় মাস আগে থেকে রেললাইন নির্মাণের কাজ শুরু করতে হবে। সেতুতে পাথরবিহীন রেলপথ স্থাপনের কাজ শুরু করতে সেতু প্রকল্প অনাপত্তিপত্র না দিলে জটিলতা সৃষ্টি হবে। সে ক্ষেত্রে সেতু চালুর পর রেললাইন নির্মাণ করতে হবে। এতে সেতু যান চলাচলের কারণে পুঙ্খানুুভাবে লাইন স্থাপন করা যাবে না। সেতুর সড়কপথে যানবাহন শুরুর পর রেললাইন স্থাপনের কাজ করাটা ঠিক হবে না। কারণ একদিকে রেলসংযোগ প্রকল্পের কংক্রিটিং; অন্যদিকে সড়কপথে গাড়ি চলবে। এটি সেতুর রেল অংশের কাজ পুরোপুরি কাক্সিক্ষত মানের করা সম্ভব নয় বলে মনে করছে রেল কর্তৃপক্ষ।