চুয়াডাঙ্গায় হিট অ্যালার্ট জারিআমিরাতে বৃষ্টিতে গাড়িতে আটকা পড়ে মারা গেলেন দুই জন সেরেলাক-নিডোয় অতিরিক্ত চিনি, পরীক্ষা করবে বিএফএসএজাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ আটকে দিল যুক্তরাষ্ট্রভারতে লোকসভা নির্বাচনের ভোট শুরু
No icon

সেবা সংস্থাগুলো কবে ডিজিটাল হবে

দেশে এখন ডিজিটাল অবকাঠামো তৈরি হয়েছে। এটা যথেষ্ট উপযোগীও। সে তুলনায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডিজিটাইজেশন বা অটোমেশন হয়নি। তবে ডিজিটাইজেশনের সুযোগ আছে এবং সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো যথাযথ পদক্ষেপ নিলে এটা সহজেই সম্ভব। বিশেষ করে সরকারি সেবা খাত, যেমন- বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর নেটওয়ার্কগুলোতে অটোমেশন এবং ডিজিটাল মনিটরিং ব্যবস্থা চালু হলে অনেক ক্ষেত্রেই দুর্ঘটনা এড়ানো এবং অনিয়ম দুটিই বন্ধ করা সম্ভব।সমকালের সঙ্গে আলাপকালে কথাগুলো বলছিলেন খ্যাতিমান তথ্যপ্রযুক্তিবিদ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি আরও বলেন, জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো চাইলে তারা একটি সার্ভিস নেটওয়ার্কের ডিজিটাল ম্যাপ তৈরি করতে পারে। বর্তমানে যে ডিজিটাল অবকাঠামো আছে, সেখানে এটা খুব বেশি কঠিন কিছু নয়। বিশেষ করে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেলে এ কাজগুলো করা হলে তা অনেক বেশি ফলপ্রসূ এবং সরকারের জন্যও লাভজনক হয়। যেমন ডাক বিভাগের ডিজিটাল আর্থিক সেবা নগদ এর একটি ভালো উদাহরণ।

ডাক বিভাগের ব্র্যান্ড নাম ব্যবহার করে এখানে বেসরকারি অংশীদার প্রতিষ্ঠান পুরো প্রযুক্তিগত অবকাঠামো গড়ে তুলেছে। ডাক বিভাগকে কোনো বিনিয়োগই করতে হয়নি, উল্টো প্রথম বছরেই প্রায় দেড় কোটি টাকা লাভ পেয়েছে। এ উদাহরণটা অন্যান্য ক্ষেত্রেও কাজে লাগানো যেতে পারে।অনুসন্ধানে দেখা যায়, জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনোটিই এখন পর্যন্ত স্বয়ংক্রিয় কিংবা ডিজিটাল ফল্ট ডিটেকশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেনি। এমনকি ডিজিটাল প্রযুক্তিতে পরিপূর্ণ বিল পরিশোধ ব্যবস্থাও গড়ে তুলতে পারেনি বেশিরভাগ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকৃতপক্ষে পুরোনো পদ্ধতির সুবিধাভোগীরাই সরকারের বিভিন্ন সংস্থায় আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়টি দীর্ঘসূত্রতায় ফেলে দিচ্ছেন। এর ফলে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের রূপরেখা বাস্তবায়নও পিছিয়ে যাচ্ছে।