কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আরসার ৫ সদস্যসহ ১২ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এপিবিএন সদস্য ও থানা পুলিশ যৌথভাবে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।এর মধ্যে বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ৫ জন ও মধুরছড়া ক্যাম্প থেকে ৭ জনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় তৈরী বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।এ বিষয়ে ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. কামরান হোসেন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গতকাল সোমবার ভোর রাতে উখিয়ার বালুখালী পানবাজার ৯ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি/১৬ ব্লকে একদল রোহিঙ্গার ডাকাতির প্রস্তুতির গোপন সংবাদে খবর পেয়ে অভিযান চালায় এপিবিএন সদস্যরা। এ সময় দেশীয় অস্ত্রসহ আরসার সদস্য ৫ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৬টি দা, ২টি ছুরা ও লোহার রড দিয়ে তৈরি ৮টি ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। তবে এ সময় আরও ৬-৭ জন রোহিঙ্গা পালিয়ে যায় বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- ৯নম্বর ক্যাম্পের সি/১৫ ব্লকের ওমর ফারুক (১৯), একই ক্যাম্পের মুক্তার আহাম্মদ (৫০), সি/১৩ ব্লকের মোহাম্মদ সলিম (৩৮), ১১নম্বর ক্যাম্পের এ/১ ব্লকের মো. আরাফাত (২৫) ও ই/১২ ব্লকের মনসুর আলম (২৫)। আটক ওমর ফারুক, মুক্তার আহাম্মদ, মোহাম্মদ সলিম আরসার অন্যতম নেতা ডা. ওয়াক্কাস ওরফে নুর কলিম এর ঘনিষ্ঠ সহচর এবং ওই সংগঠনের সদস্য। এ ছাড়া মো. আরাফাত আরসার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও অপর মনসুর আলম চিহ্নিত মাদক কারবারী এবং আরসার সদস্য।
অপরদিকে ১৪ এপিবিএন সদস্য ও উখিয়া থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ ৭ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে। গতকাল সোমবার ভোর রাতে উখিয়ার মধুরছড়া ৩ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জি/৯ ব্লকের পানির ট্যাংকির পুর্ব পার্শ্বে এ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।মধুরছড়া পুলিশ ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলাম গতকাল সন্ধ্যায় দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ২৫-৩০ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী উখিয়ার মধুরছড়া ৩ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জি/৯ ব্লকের পানির ট্যাংকির পুর্ব পার্শ্বে ডাকাতির উদ্দেশ্যে অবস্থান করার সংবাদ পাওয়া যায়। সেই সংবাদের ভিত্তিতে এপিবিএন ও উখিয়া থানা পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর সময় ৭ জনকে আটক করা হয়। অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় তৈরী বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া পলিয়ে যাওয়া আরও ২৭ জনের নাম ঠিকানা প্রকাশ করে জানান, তারা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে ক্যাম্পে অপহরণ, ডাকাতি, চাদাঁবাজি ও হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধমুলক কর্মকাণ্ডে জড়িত রয়েছে। ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে সবাই জড়ো হওয়ার কথা স্বীকার করেন।
আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- ৩নম্বর ক্যাম্পের ডি/২২ ব্লকের ইউনুছ (৪০), ১৭নম্বর ক্যাম্পের এইচ/১০২ ব্লকের মো. তাহের (২৭), ৫নম্বর ক্যাম্পের জি/৫২ ব্লকের কানফুডুক (২৮), ১ ইস্ট ক্যাম্পের ডি/৫ ব্লকের মো. রফিক (৩০), ৬নম্বর ক্যাম্পের বি-১০ ব্লকের আমির হোসাইন (৫৪) ও ৭নম্বর ক্যাম্পের ডি/৩ ব্লকের মো. জাফর আলম (৩২)। এ ছাড়া পুলিশ এসল্ট মামলার আসামি আব্দুস শুকুর নামে এক রোহিঙ্গাকে আটক করে।
