সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেনে ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়েতাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রির বেশি যেসব অঞ্চলেবিশ্ব ধরিত্রী দিবস আজপ্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: সংশোধিত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৪৬ হাজারসকালের মধ্যে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস
No icon

রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের এ কথা ভুলে যাবেন না

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের ওপর জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা (আইএনজিও) ও নাগরিক সমাজ সংগঠনের (সিএসও) অযৌক্তিক চাপে অসন্তুষ্ট ঢাকা। গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশ্বসম্প্রদায়কে বলেছে, রোহিঙ্গারা যে মিয়ানমারের সে কথা যেন তারা ভুলে না যায়। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের ওপর অযৌক্তিক চাপ সৃষ্টি না করে এই সংকট সমাধানে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে বিশ্বসম্প্রদায়ের প্রতি বাংলাদেশ আহ্বান জানিয়েছে।বাংলাদেশ বলেছে, মিয়ানমারের সৃষ্ট সমস্যা মিয়ানমারকেই সমাধান করতে হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর উচিত রোহিঙ্গা সংকটের দিকে দৃষ্টি দেওয়া। বিশেষ করে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে অবশিষ্ট রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশে আশ্রিতদের প্রত্যাবাসনে কী কী করা হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখতে জাতিসংঘের কারিগরি ও সুরক্ষা দল পাঠানো উচিত।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে মিয়ানমার থেকে আসা নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারে সাময়িক আশ্রয় দেওয়া সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের সরকারি পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে।

এরই অংশ হিসেবে গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় এক হাজার ৬৪২ ও দ্বিতীয় দফায় এক হাজার ৮০৪ জন রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। সরকার দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়েছে, এই স্থানান্তরপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে কক্সবাজারে আশ্রয়শিবিরের ওপর সৃষ্ট চাপ কমানোর জন্য। স্থানান্তরপ্রক্রিয়ায় কঠোরভাবে রোহিঙ্গাদের আগ্রহ ও স্বচ্ছতার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।রোহিঙ্গাদের এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বলপ্রয়োগ বা অর্থ দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। যারা গেছে, স্বেচ্ছায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয় দফায় আরো কমসংখ্যক রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরের প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু রোহিঙ্গাদের আগ্রহের কারণে সেই সংখ্যা প্রথম দফার সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে যায়। স্থানান্তরপ্রক্রিয়া গণমাধ্যম, নাগরিক সমাজ ও এনজিওগুলোর প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে হয়েছে। সেখানে তাদের কেউই রোহিঙ্গাদের জোর করে স্থানান্তরের অভিযোগ তোলেনি। বরং রোহিঙ্গারা নিজে থেকেই বলেছে, ভাসানচরের বিষয়ে ইতিবাচক খবর জেনেই তারা সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।