রোহিঙ্গাদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করাসহ সার্বিক বিষয় তদারকির জন্য একটি জাতীয় কমিটি গঠন করেছে সরকার।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে আহ্বায়ক করে ১৬ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। কমিটি প্রতি তিন মাসে কমপক্ষে একটি সভা করবে। প্রয়োজন অনুসারে যে কোনো সময়ে সভা করতে পারবে। কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক ও আইসিটি অনুবিভাগ। এই কমিটি অবিলম্বে কার্যকর হবে। গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব বেবি পারভীন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কমিটিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীসহ ১৬ জনকে সদস্য করা হয়। সংশ্নিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ পুলিশের আইজি, এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক, সামরিক গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) মহাপরিচালক, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের (এনএসআই) মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবং শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারকেও সদস্য রাখা হয়েছে।
কমিটি কী ধরনের কাজ করবে, সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) ক্যাম্প এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ব্যবস্থাপনা, প্রত্যাবাসনসহ সব কার্যক্রমের সমন্বয় সাধন করা এই কমিটির কাজ।প্রত্যাবাসন-সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স (এনটিএফ), ভাসানচরে স্থানান্তরের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় নির্বাহী কমিটির কার্যক্রম, নিরাপত্তা প্রদান ও রোহিঙ্গা নাগরিকদের বিষয়ে গৃহীত সব কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ, মূল্যায়ন, পুনঃনিরীক্ষণ, পরামর্শ দেওয়াসহ সংশ্নিষ্ট অন্যান্য বিষয়ও তদারক করবে এই কমিটি। তারা প্রয়োজনে যে কোনো কর্মকর্তা ও ব্যক্তিকে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করতে পারবেন।
