তাপপ্রবাহের কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণাতীব্র তাপপ্রবাহ: ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি ভেজাল নকল পণ্যে সর্বনাশতাপমাত্রা আরও বাড়তে পারেতাপপ্রবাহ আরও কত দিন থাকবে জানালো আবহাওয়া অধিদপ্তর
No icon

ভাসানচরে যেতে চান সাধারণ রোহিঙ্গারা

কক্সবাজারের উখিয়ায় বিশাল কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এখন উত্তপ্ত পরিস্থিতি। গত এক সপ্তাহে সহিংস ঘটনায় এখানে নিহত হয়েছেন ৭ রোহিঙ্গা। আহত হয়েছেন অর্ধশত। সন্ত্রাসীরা পুড়িয়ে দিয়েছে ৪টি বাড়ি। অব্যাহত হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় আতঙ্কে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে ৮ শতাধিক রোহিঙ্গা পরিবার। এ পরিস্থিতিতে সাধারণ রোহিঙ্গারা কুতুপালং ক্যাম্পকে আর নিরাপদ মনে করছেন না। তারা দ্রুত প্রত্যাবাসন চান। প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হলে যেতে চান নোয়াখালীর ভাসানচরে। বুধবার রাতে সন্ত্রাসীরা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে উখিয়ার নিবন্ধিত ক্যাম্পের সি-ব্লকের বাসিন্দা সৈয়দ হোসেনের বসতঘরটি। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তিনি এখন আশ্রয় নিয়েছেন কুতুপালং বাজার এলাকায় এক আত্মীয়ের ঘরে। তিনি বলেন, আমার কী অপরাধ জানি না। সন্ত্রাসী বাহিনী রাতের আঁধারে কেন আমার ঘরটি পুড়িয়ে দিয়েছে বুঝতে পারছি না। সৈয়দ হোসেন বলেন, উখিয়ার বিশাল কুতুপালং ক্যাম্প এখন সন্ত্রাসীদের দখলে। খুন-খারাবি, অপহরণ, মাদক ব্যবসা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। সন্ত্রাসীদের প্রতিমাসে চাঁদা না দিলে সাধারণ রোহিঙ্গাদের ওপর নেমে আসে চরম নির্যাতন। তিনি বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে পালিয়ে এসেছি। বাংলাদেশের মানবিক সরকার আমাদের আশ্রয় দিয়েছে। এখন অমানবিক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচতে আবার পালাতে হচ্ছে। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা পুড়িয়ে দিয়েছে কুতুপালং সি-ব্লকের বাসিন্দা আহমদ উল্লাহর বসতঘরটিও। পরিবারের ৯ সদস্যকে নিয়ে তিনি আশ্রয় নিয়েছেন এ-ব্লকে একটি এনজিও সংস্থার অফিস ঘরের পেছনের বারান্দায়। সাধারণ এই রোহিঙ্গা পরিবারটি মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়।

ভাসানচরে যেতে আগ্রহী কিনা জানতে চাইলে আহমদ উল্লাহ বলেন, মাথার ওপর একটু ছায়া থাকলেই হবে। ভাসানচর কেন যেকোনো স্থানে যেতে রাজি। কুতুপালং ক্যাম্পে আর থাকতে রাজি নই।নোয়াখালীর ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গাকে পুনর্বাসন করতে চায় সরকার। এজন্য অবকাঠামোসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষ হয়েছে। ভাসানচরে ১ হাজার ৭০০ একর জায়গাজুড়ে রোহিঙ্গা পুনর্বাসনে বিশাল কর্মযজ্ঞ ও আবাসন সুবিধা গড়ে তোলা হয়েছে। এ চরে মোট জমির পরিমাণ ১৭ হাজার একর। এ হিসেবে প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গাকে এখানে পুনর্বাসনের সুযোগ রয়েছে।নোয়াখালীর ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গাকে পুনর্বাসন করতে চায় সরকার। এজন্য অবকাঠামোসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষ হয়েছে। ভাসানচরে ১ হাজার ৭০০ একর জায়গাজুড়ে রোহিঙ্গা পুনর্বাসনে বিশাল কর্মযজ্ঞ ও আবাসন সুবিধা গড়ে তোলা হয়েছে। এ চরে মোট জমির পরিমাণ ১৭ হাজার একর। এ হিসেবে প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গাকে এখানে পুনর্বাসনের সুযোগ রয়েছে।