NEWSTV24
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৫৮৬ মামলা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:০৯ অপরাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত সারাদেশে আদালত ও থানায় ৫৮৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তদন্তাধীন আরও চারটি মামলা। অপহরণ, হত্যাচেষ্টা ও সহিংসতার মামলায় শেখ হাসিনাকে নির্দেশদাতা, হুকুমদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে প্রধান আসামি করা হয়েছে। ৫৮৬টি মামলার মধ্যে ৩২৪টি হত্যা মামলা। এর মধ্যে দুদকের মামলা রয়েছে ছয়টি।এ ছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় জমা পড়েছে আরও অর্ধশত অভিযোগ। এর মধ্যে পিরোজপুরের সুখরঞ্জন বালি, মাইকেল চাকমা, বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদসহ বিএনপির করা একাধিক অভিযোগ রয়েছে, যা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এসব অভিযোগে তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সত্যতা মিললে মামলায় রূপান্তর করা হবে।তবে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় মামলা দায়ের এখনও অব্যাহত। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম মামলা করা হয় গত বছর ১৩ আগস্ট। আবু সাঈদ হত্যার অভিযোগে মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ কর্মকর্তা এ মামলার তদন্ত করছেন।

সম্প্রতি পুলিশ সদরদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর জুলাই-আগস্ট আন্দোলন-পরবর্তী সারাদেশে ১ হাজার ৬১২টি মামলা হয়েছে৷ এসব মামলায় হত্যা, হত্যাচেষ্টা, হামলা, ভাঙচুর, মারধর, অগ্নিসংযোগ, ভয়ভীতি প্রদর্শন, লুটপাট, চাঁদাবাজি ও দখলবাজির অভিযোগ রয়েছে৷ এর মধ্যে হত্যা মামলা হয়েছে ৫৯৯টি এবং অন্যান্য মামলা হয়েছে এক হাজার তিনটি৷ এর মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঢাকাসহ সারাদেশের থানা ও আদালতে ৩২৪টি হত্যা মামলাসহ ৫৮০টি মামলা দায়ের হয়েছে৷ আদালত অবমাননার অভিযোগে একটি মামলায় গত ২ জুলাই শেখ হাসিনাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বিচার প্রক্রিয়া কতটা স্বচ্ছ

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে স্বচ্ছ এবং স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বিচার অনুষ্ঠিত হচ্ছে দাবি করেছেন প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম। তিনি বলেন, নিঃসন্দেহে বলতে পারি যে, স্বচ্ছ এবং স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বিচার অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ এখন দেশে যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে; আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দৃঢ়তার সঙ্গে এ ধরনের পদক্ষেপকে রুখে দেবে।এ প্রসঙ্গে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, যদি কোনোদিন রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয়, আওয়ামী লীগ ফিরে আসে, তাহলে এই রায় টিকবে না। যেমন ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে থাকা সব মামলা বাতিল হয়ে গেল। সেই কারণে কী সাজা হলো বা হলো না সেটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ না। আমি এই বিচারকে গুরুত্ব দিচ্ছি না।