NEWSTV24
আগামী সপ্তাহে বন্দি স্থানান্তর, আপাতত থাকবে ১০০ কয়েদি
শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:১৩ অপরাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

জনবল সংকটের কারণে পুরোপুরি চালু হচ্ছে না খুলনার নতুন কারাগার। আপাতত সাজাপ্রাপ্ত ১০০ বন্দি নিয়ে নতুন কারাগারের কার্যক্রম শুরু হবে। আগামী সপ্তাহে বন্দি স্থানান্তর করা হবে। নতুন কারাগারের সঙ্গে পুরোনোটির কার্যক্রমও চলবে। নতুন কারাগারে খুলনার ৯টি উপজেলার বন্দি এবং পুরোনো কারাগারে মহানগরীর বন্দিদের রাখা হবে।খুলনার সিটি (রূপসা সেতু) বাইপাস সড়কে প্রায় ৩০ একর জমির ওপর নতুন কারাগার নির্মাণ প্রকল্প শুরু হয় ২০১১ সালে। ১৪ বছর পর সেই কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে ৮ বার প্রকল্পের সময় বেড়েছে, দুই দফা সংশোধনের পর ব্যয় বেড়ে হয়েছে ২৮৮ কোটি টাকা।সম্প্রতি কারাগার ঘুরে দেখা গেছে, ভেতরে সাজানো-গোছানো, অভিজাত আবাসিক এলাকার মতো পরিবেশ। রং দেওয়া নতুন ভবন, দামি পার্কিং টাইলস দেওয়া ফুটপাত ধরে হাঁটলে এটি কারাগারই মনে হয় না। বন্দিদের থাকার প্রতিটি ভবনের চারপাশে পৃথক সীমানাপ্রাচীর রয়েছে। একশ্রেণির বন্দিদের অন্য শ্রেণির বন্দিদের সঙ্গে মেশার সুযোগ থাকবে না। কারাগারের ভেতরে শুধু সীমানাপ্রাচীরই রয়েছে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের। ভেতরে মাটি সমান করার কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে এই কাজও শেষ হবে।
খুলনা গণপূর্ত বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান বলেন, নতুন কারাগারের ভেতরে মোট স্থাপনা রয়েছে ৫৭টি। শুধু বন্দিদের রাখার জন্য ভবন রয়েছে ১১টি। কারাগারের সব স্থাপনা কারা কর্তৃপক্ষ বুঝে নিয়েছে। প্রধান ফটকের নিরাপত্তায় কারারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে।

কারা কর্তৃপক্ষের একটি সূত্র জানায়, পূর্ণাঙ্গ জনবল না পাওয়া পর্যন্ত আপাতত ৬ তলাবিশিষ্ট পুরুষ হাজতি ব্যারাক এবং মহিলা বন্দি ও কিশোরী ব্যারাকে বন্দিদের রাখা হবে। প্রথম পর্যায়ে সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের সেখানে রাখা হবে। এতে বারবার আদালতে আনা-নেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দিদের ব্যারাকও প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। বিশাল আয়তনের ভবন দুটিতেই পুরোনো কারাগারের সব বন্দিকে রাখা সম্ভব।খুলনার জেল সুপার নাসির উদ্দিন প্রধান বলেন, কারাগার পরিচালনার জন্য ৬০০ জনবলের চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ২০৮ জনবল রয়েছে।  নতুন করে ৪৪ জনকে পদায়ন করা হয়েছে। আপাতত এই জনবল দিয়েই দুটি কারাগারের কাজ চালিয়ে নেওয়া হবে।খুলনা কারাগারের জেলার মুনীর হুসাইন বলেন, খুলনায় দুটি কারাগার চালু রাখার বিষয়ে সরকার নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আপাতত বর্তমান কারাগারের কর্মকর্তারাই দুটি কারাগারের দায়িত্ব পালন করবেন।

প্রকল্প অফিস থেকে জানা যায়, নতুন কারাগার নির্মাণ হচ্ছে সংশোধনাগার হিসেবে। এখানে বিচারাধীন ও সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের পৃথক স্থানে রাখা হবে। কিশোর ও কিশোরী বন্দিদের জন্য রয়েছে পৃথক ব্যারাক। নারীদের জন্য আছে পৃথক হাসপাতাল, মোটিভেশন সেন্টার ও ওয়ার্কশেড। বন্দিদের জন্য ৫০ শয্যার হাসপাতালও থাকবে। আরও থাকবে কারারক্ষীদের সন্তানদের জন্য স্কুল, বিশাল লাইব্রেরি, ডাইনিং রুম, আধুনিক সেলুন ও লন্ড্রি। কারাগারে শিশুসন্তানসহ নারী বন্দিদের জন্য থাকবে পৃথক ওয়ার্ড ও ডে-কেয়ার সেন্টার। এ ওয়ার্ডটিতে সাধারণ নারী বন্দি থাকতে পারবেন না