NEWSTV24
ভারতের কাছে বাংলাদেশের রেকর্ড ব্যবধানে হার
সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:০২ অপরাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

এমন তো কথা ছিল না! কথা দিয়েছিলেন, ভালো খেলবেন। লড়াই করে জেতার চেষ্টা করবেন। নিজেদের উন্নতি প্রদর্শন করবেন। আরও বলেছিলেন, পাকিস্তানে ভালো খেলার ধারাবাহিকতা ধরে রাখার কথা। হ্যাঁ, এটাও বলেছিলেন, ভারতে টেস্ট ক্রিকেট খেলা চ্যালেঞ্জিং। তবে এবার ভালো হবে বলে বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলেন। চ্যালেঞ্জ জয় করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। দেশ ছাড়ার আগে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে লিটন কুমার দাস, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নাজমুল হোসেন শান্তর প্রতিশ্রুতি ছিল অনুরূপ। চেন্নাইয়ে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বুক ফুলিয়ে পাকিস্তানে অর্জিত সাফল্যের কথা বলতে বলতে ভারতকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন। এ নিয়ে প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা একটু মশকরা করেছিলেন। চেন্নাই টেস্টের পর তারা পেছনের কথাগুলো মনে করতে পারছেন কিনা, জানা নেই। কারণ, ক্রিকেটাররা প্রতিটি সিরিজের আগে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন এবং ভুলে যান। চেন্নাইয়ে ভারতের কাছে ২৮০ রানের হারকেও হয়তো ভুলের তালিকায় রেখে দিতে পারেন শান্তরা, যা রানের হিসাবে ভারতের কাছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হার।গত তিন বছরে বাংলাদেশ বোলিংয়ে যথেষ্ট উন্নতি করেছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু বোলারদের পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগানোর কৌশল জানা হয়নি। রোহিতকে যেভাবে পেস ও স্পিন বোলারদের রোটেট করতে দেখা গেছে, শান্ত সেভাবে পারেননি। বোলাররা নিজেদের পরিকল্পনা অধিনায়কের সঙ্গে ভাগাভাগি করেন কিনা, জানা নেই। উল্টো হাসান মাহমুদকে পঞ্চম উইকেটের জন্য স্বার্থপর হতে দেখা গেছে। মাইলফলকের পঞ্চম উইকেট পেলেও দলের লাভ হয়নি। প্রথম ইনিংস বাদ দিলে বোলিং ভালো হয়েছে, সে দাবি করতে পারবে না।

ম্যাচে সবচেয়ে বাজে দিক ছিল ব্যাটিং। প্রথম ইনিংসে ১৪৯ রানে অলআউট হয়ে পরাজয় নিশ্চিত করে ফেলে বাংলাদেশ। এরপরও দ্বিতীয় ইনিংসে সুযোগ ছিল লড়াইয়ের মানসিকতা দেখানোর। অধিনায়ক শান্ত ছাড়া আর কেউই সেই দৃঢ়তা ও দক্ষতা দেখাতে পারেননি।বাংলাদেশ ৬ উইকেটে ১৫৮ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করে। সাকিব-শান্তর অপরাজিত জুটি ভালো করছিল। বুমরাহ-সিরাজ টানা এক চ্যানেলে বল ফেলেও সাকিব-নাজমুলকে প্রলোভনে ফেলতে পারেননি। কিন্তু দিনের প্রথম পানি পানের বিরতির পর অশ্বিনের বলে সাকিব ক্যাচ দিয়ে বসলে পরিকল্পনা লন্ডভন্ড হয়ে যায়। তাঁর আউটের পরই বিপর্যয়ের শুরু। ব্যাটাররা একে একে ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে টি২০ শট খেলে আউট হন। লিটন দাস, মেহেদী মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি। এর মধ্যে বেশি হতাশ করেন লিটন ও মিরাজ। টপাটপ উইকেট পড়তে দেখে অধিনায়ক শান্ত ঝুঁকি নিয়েছিলেন বাউন্ডারি মেরে রান বাড়িয়ে নিতে। ৮২ রান করা শান্ত জাদেজাকে তুলে মারতে ক্যাচ দিয়ে বসেন। এই রান পরের টেস্টে ভালো খেলতে শান্তকে আত্মবিশ্বাস দিলেও দলের কী হবে? কথা দিয়ে কেউ তো কথা রাখেন না!