NEWSTV24
স্বীকৃতির বাইরে হাজারো শহীদ বুদ্ধিজীবী
বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ ১৫:৩৭ অপরাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

স্বাধীনতার ৫১ বছরেও শেষ হয়নি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রণয়নের কাজ। দুই দফায় এখন পর্যন্ত মাত্র ৩৩৪ শহীদ বুদ্ধিজীবীকে গেজেটের মাধ্যমে স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। অথচ স্বীকৃতির বাইরে রয়ে গেছেন হাজারো শহীদ বুদ্ধিজীবী। যাঁদের নামে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে, সেই পরিবারগুলোর জন্যও কোনো রাষ্ট্রীয় সহায়তা ঘোষণা করা হয়নি। নির্ধারিত হয়নি তাঁদের মর্যাদাক্রমও।মন্ত্রণালয় বলছে, চূড়ান্ত তালিকা প্রণয়নের কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারগুলোর সহায়তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মন্ত্রণালয় এবং সাব-কমিটির কাছে প্রায় দেড় হাজার শহীদ বুদ্ধিজীবীর তথ্য-উপাত্ত রয়েছে, যা যাচাই-বাছাই করা হবে। এরই মধ্যে আজ বুধবার দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। শহীদ বুদ্ধিজীবী তালিকা প্রণয়ন সংক্রান্ত যাচাই-বাছাই কমিটির প্রথম সভাটি হয় ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর। ওই সভায় প্রাথমিকভাবে ১ হাজার ২২২ জনের নাম অনুমোদন করা হয়। পরে অনুমোদন হওয়া ১৯১ জনের নাম প্রথম দফায় গেজেট আকারে প্রকাশ করে সরকার। এর পর গত ২২ মে দ্বিতীয় দফায় ১৪৩ শহীদ বুদ্ধিজীবীর নামে গেজেট প্রকাশ করা হয়।গত ২৫ মার্চ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, এ বছরের ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত তালিকা প্রণয়নের কাজ শেষ হবে। এ বিষয়ে গতকাল মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শহীদ বুদ্ধিজীবী তালিকা প্রণয়ন সংক্রান্ত যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি হলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া। তিনি যোগদানের পর থেকে গত দেড় বছরে জাতীয় কমিটির কোনো সভা ডাকা হয়নি।

জানতে চাইলে মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আমাদের কাছে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের কিছু নামের তালিকা জমা রয়েছে। এগুলো নিয়ে যাচাই-বাছাই কমিটি সিদ্ধান্ত দেবে। কমিটির সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। কমিটির বৈঠক না হওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। এটি সচিব বলতে পারবেন। এ সময় মন্ত্রীর দপ্তরে উপস্থিত ছিলেন যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি সচিব খাজা মিয়া। তখন তিনি এ বিষয়ে কিছু না জানালেও সন্ধ্যায় বলেন, আমরা ২৭ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাই সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠক ডেকেছি। শিগগির চূড়ান্ত তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু হবে। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নির্মিত বাংলাদেশ নামক প্রামাণ্যচিত্রে বলা হয়, স্বাধীনতা যুদ্ধে ৬৩৭ জন প্রাথমিক স্কুলশিক্ষক, ২৭০ জন সেকেন্ডারি স্কুলশিক্ষক এবং ৫৯ জন কলেজ-শিক্ষক শহীদ হয়েছেন। তবে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, ওয়ার ক্রাইম ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটিসহ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন প্রকাশনায় হাজারো শহীদ বুদ্ধিজীবীর তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে ৯৯১ জন শিক্ষাবিদ, ১৩ জন সাংবাদিক, ৪৯ জন চিকিৎসক, ৪২ জন আইনজীবী, ৯ জন সাহিত্যিক ও শিল্পী, পাঁচজন প্রকৌশলী এবং অন্যান্য রয়েছেন দু জন।