NEWSTV24
দুই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হোক বাংলাদেশের অগ্রাধিকার
সোমবার, ০৭ নভেম্বর ২০২২ ১৭:০৬ অপরাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

মিসরের শার্ম আল-শেখ পর্যটনকেন্দ্রে রোববার শুরু হয়েছে জলবায়ু সম্মেলন। ১২০টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং ১৯৮টি দেশের কূটনীতিকদের পাশাপাশি পর্যবেক্ষক হিসেবে প্রায় ৩০ হাজার প্রতিনিধি দুই সপ্তাহের এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন। এর মধ্যে ব্যক্তি খাত, গবেষক, নাগরিক সমাজ ও সামাজিক আন্দোলনের বিভিন্ন সংগঠন-প্রতিষ্ঠানের নেতারাও রয়েছেন।সম্মেলনে তিনটি ধারায় আলোচ্য বিষয় বা এজেন্ডা দুই ডজনেরও বেশি।জলবায়ু পরিবর্তন একটি পূর্বানুমান থেকে নিষ্ঠুর বাস্তবতায় পরিণত হওয়ার প্রেক্ষাপটে ২০০৭ সালে সূচিত আলোচনা ২০১৫ সালে একটি পরিণতিতে পৌঁছে প্যারিস চুক্তি সম্পাদনের মধ্য দিয়ে। যদিও বালি কর্মপরিকল্পনা নামে নতুন পর্যায়ের ওই আলোচনা শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০০৯ সালে। আলোচনা বিলম্বিত হয় মূলত ঐতিহাসিকভাবে বৃহৎ পরিমাণে ক্ষতিকর গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমনকারী দেশগুলোর সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে বৃহত্তম নির্গমনকারী দেশগুলোর মধ্যে কোনো ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায়।

মানবসমাজ সম্মিলিতভাবে এবং বিশেষত জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো ২০১৫ সালে প্যারিস চুক্তিতে পৌঁছাতে গিয়ে আগের আট বছরে হারিয়েছে অতীত অর্জনের অনেক কিছু।প্রথমত, ১৯৯২ সালে বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন কাঠামো সনদ নামে যে ঐতিহাসিক চুক্তিতে উপনীত হয়েছিল, তা সাধারণ কিন্তু পৃথকীকৃত দায় ও সংশ্নিষ্ট সক্ষমতার (কমন বাট ডিফারেনশিয়েটেড রেসপনসিবিলিটিস অ্যান্ড রেসপেকটিভ ক্যাপাবিলিটিস) ভিত্তিতে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দেশগুলোর ভূমিকা ও করণীয় নির্ধারণের নীতি ঘোষণা করেছিল।কাঠামো সনদের এই নীতির অধীনে ১৯৯৭ সালে স্বাক্ষরিত হয়েছিল কিয়োটো প্রটোকল। এই চুক্তির আকর্ষণীয় বিষয় ছিল, এতে নির্গমনের জন্য দায়ী দেশগুলোর একটি তালিকা করা হয়। এর অধীনে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনকারী দেশগুলো তাদের নির্গমন কমানোর লক্ষ্য স্থির করে। প্রটোকলে স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর আইনগত বাধ্যবাধকতা ছিল তা মেনে চলার।