NEWSTV24
টানা ছুটিতে পর্যটকে মুখর কক্সবাজার কুয়াকাটা
শনিবার, ০৮ অক্টোবর ২০২২ ১৫:৫৩ অপরাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

দুর্গাপূজা, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ও প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে সরকারি অফিস-আদালতে টানা ছুটি থাকায় কক্সবাজার ও কুয়াকাটায় দেখা দিয়েছে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়। তবে পর্যটকরা অভিযোগ করেছেন, হোটেল-মোটেলে গলাকাটা ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। সুযোগ বুঝে খাবারের দামও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে পর্যটকরা ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। পর্যটকদের সুরক্ষায় নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা। কক্সবাজার: কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এখন লাখো পর্যটকে ভরপুর। উত্তাল সমুদ্রে গোসল, বালুচরে দৌড়ঝাঁপের পাশাপাশি তাঁরা ছুটে বেড়াচ্ছেন জেলার পর্যটন পল্লিগুলোতে। তবে এবার বিপুল পর্যটকের কারণে হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টে অগ্রিম বুকিং বন্ধ করে দিয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।অভিযোগ উঠেছে, পর্যটকদের এমন ভিড় দেখে সাগরপাড়ের বেশ কিছু হোটেল-মোটেলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া নিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সৈকতের লাবনী পয়েন্ট থেকে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য ছিল। টানা ছুটিতে সৈকতে এসেছেন প্রায় ২ লাখ পর্যটক। পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, ১ অক্টোবর থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ছুটি চলবে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত। এর মধ্যে দুর্গাপূজা, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ও প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে সরকারি অফিস-আদালত ছুটি।গত দুই বছর করোনার কারণে পর্যটনকেন্দ্রগুলো প্রায় বন্ধ ছিল। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। গত ঈদেও পর্যটকের তেমন সমাগম হয়নি। এবার প্রত্যাশার বেশি পর্যটক কক্সবাজারে এসেছেন। ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টুুয়াক) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এসএম কিবরিয়াহ বলেন, ১০ দিনে পর্যটন শহরে ৫ লাখের বেশি পর্যটকের সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

শুক্রবার দুপুরে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে, বালিয়াড়িতে ঘোড়ায় চড়ে ঘুরেছেন অনেকে। ঘোড়ার পিঠে বসে ছবি তুলে আনন্দে মেতেছেন। কেউ কেউ ওয়াটার বাইক ও সাগরের নোনাজলে গা ভাসিয়েছেন। উত্তাল সাগরে ঢেউয়ের ধাক্কায় কোনো পর্যটক যেন সমুদ্রে ভেসে না যান, সেজন্য লাইফগার্ডের কর্মী, ডুবুরি ও ট্যুরিস্ট পুলিশ নিয়োজিত রয়েছেন। পর্যটকদের সতর্ক করতে লাল ও সবুজ পতাকা ওড়ানো হচ্ছে।কক্সবাজার হোটেল-মোটেল-গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের কলাতলী এলাকার এক বর্গকিলোমিটার এলাকায় তারকা মানের আটটিসহ হোটেল, মোটেল, গেস্টহাউস ও কটেজ আছে প্রায় ৪৫০টি। এসব হোটেলে দৈনিক দেড় লাখ মানুষের রাতযাপনের ব্যবস্থা আছে।