জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর কয়েক দফায় দর বেড়ে প্রতি ডজন ব্রয়লার মুগির ডিম ১৫৫ টাকায় উঠেছিল। তবে উৎপাদনে গতি আর বাজার তদারকির প্রেক্ষাপটে ডিমের দাম নামতে শুরু করেছে। একই সঙ্গে থেমেছে ব্রয়লার মুরগির দামের দৌড়।তবে গত কয়েকদিন ধরে ঊর্ধ্বমুখী থাকা চালের বাজার আরও চড়েছে।ডিম ও মুরগির দাম নিয়ে কারসাজি ঠেকাতে বৃহস্পতিবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ডিম ও মুরগির পাইকারি এবং খুচরা দোকানে অভিযান চালিয়েছে।রাজধানীর কারওয়ান বাজার, তেজকুনিপাড়া ও মহাখালী কাঁচা বাজার এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা দরে, যা দুই দিন আগেও বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা দরে। তবে সোনালি মুরগির দাম আগের মতোই কেজি ৩০০ থেকে ৩১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।ডিম ও মুরগি ব্যবসায়ীরা জানান, দাম বেড়ে যাওয়ার পর বিক্রি কিছুটা কমেছিল। এখন বাজারে সরবরাহ বেড়েছে, তাই দাম কমেছে।
কারওয়ান বাজারের নুরজাহান চিকেন ব্রয়লার হাউসের স্বত্বাধিকারী সামছুল হক বলেন, দুই দিন ধরে দাম কমছে। বাজারে মুরগির সরবরাহ বেশি থাকলে দাম কমে যায়।একই বাজারের ডিম ব্যবসায়ী মো. সফিউল বলেন, দাম বাড়ার কারণে মানুষ ডিম কেনা কমিয়ে দিয়েছে। ব্যবসায়ীদের কাছে আগের কেনা ডিম রয়ে গেছে। অন্যদিকে, বাজারে ডিমের সরবরাহও বেড়েছে। ফলে ডজনে ২০ থেকে ২৫ টাকা কমেছে।তবে ডলারের দাম বাড়ার কারণে ডিমের উৎপাদন খরচ আগের চেয়ে বেড়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি)।সংগঠনটি বলছে, গত জুলাইয়ের চেয়ে প্রতিটি ডিমের উৎপাদন খরচ বেড়েছে ৫০ পয়সার বেশি। প্রতিটি ডিমের বর্তমান গড় উৎপাদন খরচ প্রায় সাড়ে ৯ টাকা। আর ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ হচ্ছে ১৪০ টাকার বেশি। খামার পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দাম এখন ৯ টাকা ৭৩ পয়সা আর ব্রয়লার মুরগির কেজি প্রায় ১৪৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।