চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সংস্থাবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিশেল জে সিসন আজ শনিবার ঢাকায় আসছেন। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরে যুক্তরাষ্ট ও চীনের মধ্যকার উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেই আজ ঢাকাতে পা রাখছেন দেশ দুটির দুই মন্ত্রী। মিশেল জে সিসন ভারত ও কুয়েতেও যাবেন। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই আজ সন্ধ্যায় আসবেন এবং রবিবার ফিরে যাবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে রবিবার সকালে তিনি বৈঠক করবেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও তার সাক্ষাৎ করার কথা। ওয়াং ই-এর সফর প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অনেক গভীর এবং বিস্তৃত। সে জায়গা থেকে আসন্ন সফরে একাধিক সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এর মধ্যে নবায়ন, নতুন সহযোগিতা, বিশেষ করে দুর্যোগ ও অর্থনৈতিক সম্পর্কবিষয়ক চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে।
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সাম্প্রতিক উত্তেজনা নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শাহরিয়ার আলম বলেন, আমরা সব সময়ই এক চীন নীতিতে বিশ্বাস করি। আমরা চাই যে, এ ইস্যুতে পরিস্থিতির যাতে অবনতি না হয়। কেননা বিশ্ব যথেষ্ট সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তাই আমাদের আহ্বান হচ্ছে, সব পক্ষ যাতে এ ইস্যুতে সংযত আচরণ করে এবং জাতিসংঘের এ সংক্রান্ত নিয়ম মেনে চলে। এদিকে ঢাকার চীনা দূতাবাস সম্প্রতি এক বিবৃতিতে জানায়, চীন বিশ্বাস করে, এ অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য বেইজিংয়ের সঙ্গে কাজ করবে ঢাকা। এর পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ তাইওয়ান পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। সর্বোচ্চ সংযম অবলম্বন করার পাশাপাশি উত্তেজনা বাড়াতে পারে, এ অঞ্চল এবং এর বাইরে শান্তি-স্থিতিশীলতা নষ্ট হতে পারে, এমন কোনো কাজ থেকে সংশ্লিষ্টদের বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছে বাংলাদেশ।