দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে এলএনজি (তরল প্রাকৃতিক গ্যাস) সরবরাহ করতে চায় দেশের বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ কোম্পানি সামিট গ্রুপ। পেট্রোবাংলার কাছে কোম্পানিটি ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০৩৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এলএনজি সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে। প্রস্তাব বিশ্নেষণ করে দেখা গেছে, সামিট যে দামে দিতে চায়, তা এখনকার খোলাবাজারে (স্পট মার্কেট) বিক্রীত এলএনজির দামের প্রায় সমান। যেখানে এখন স্পট মার্কেটে দর বেশি বলে সরকার সরাসরি এলএনজি কেনা বন্ধ রেখেছে।দেশে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৪২০ কোটি ঘনফুট। দেশীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে পাওয়া যাচ্ছে ২৩৫ কোটি ঘনফুট। ঘাটতি মেটাতে ২০১৮ সাল থেকে গ্যাস আমদানি শুরু করে সরকার। কাতার ও ওমান থেকে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে এলএনজি আনা হয়। চাহিদার একাংশ কেনা হয় স্পট মার্কেট থেকে। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে সরাসরি এলএনজি সংগ্রহে ১৬ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি রয়েছে পেট্রোবাংলার। তবে গেল কয়েক মাসে দাম বেড়ে যাওয়ায় স্পট মার্কেট থেকে সরকার আপাতত এলএনজি কেনা বন্ধ রেখেছে।এখন মহেশখালীর গভীর সমুদ্রে দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল রয়েছে (এফএসআরইউ)। এ দুটি পরিচালনা করছে দেশীয় কোম্পানি সামিট ও যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেট এনার্জি।
সামিটের নিজের সাতটি এবং শেয়ার রয়েছে চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে। সব মিলিয়ে বর্তমানে সামিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট। টার্মিনাল পরিচালনার পাশাপাশি এলএনজি সরবরাহেও আগ্রহী সামিট গ্রুপ। গত মাসে কোম্পানিটি ১৫ বছর ধরে এলএনজি সরবরাহের জন্য একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছে পেট্রোবাংলায়। প্রস্তাবে চার ধাপে বিভিন্ন দর প্রস্তাব করা হয়েছে।প্রথম ধাপে ২০২৩ সালের জন্য প্রতি এমএমবিটিইউ (ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট) এলএনজির দর ধরা হয়েছে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দামের ৩৫.১৪ শতাংশের সঙ্গে দশমিক ৪ মার্কিন ডলার। গত মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ছিল ১০০ মার্কিন ডলার। এ হিসাবে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম হবে ৩৫.৫৪ মার্কিন ডলার। যেখানে স্পট মার্কেটেই দাম এখন ৩৭ মার্কিন ডলার।