রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় রোববার বৃষ্টি হয়েছে। ভ্যাপসা গরম থেকে মুক্তি মিলেছে খানিকটা। কমেছে বিদ্যুতের চাহিদা। ফলে গত কয়েক দিনের চেয়ে একটু স্বস্তিতে ছিল বিদ্যুতের বিতরণ কোম্পানিগুলো। কারণ, লোডশেডিং কম করতে হয়েছে।ঢাকার উত্তর অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্বে থাকা ডেসকোর দিনে লোডশেডিং হয়েছে ৫০-৬০ মেগাওয়াট। বৃষ্টির কারণে সন্ধ্যার পর চাহিদা কমে আসায় লোডশেডিং করতে হয়নি।এদিন ঢাকার দক্ষিণ ও নারায়ণগঞ্জের বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্বে থাকা ডিপিডিসির ঘাটতি ছিল ১২০-১৩০ মেগাওয়াট। কোম্পানিটি এলাকাপ্রতি এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং করেছে।এদিকে রোববার সারাদেশে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৪ হাজার মেগাওয়াট। সর্বোচ্চ উৎপাদন ছিল ১২ হাজার ৩১৩ মেগাওয়াট। আর ঘাটতি ছিল ১ হাজার ৬৮৭ মেগাওয়াট।
করোনা-পরবর্তী চাহিদা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানির আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। এলএনজি, জ্বালানি তেল সব কিছুর দাম আকাশচুম্বী। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। জ্বালানি তেল আমদানিতে সরকারের ভর্তুকি বেড়ে গেছে। তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। খোলা বাজার থেকে কেনা হচ্ছে না এলএনজি। এতে দিনে কমেছে ৩০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ। গ্যাস সংকটে কমে গেছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। পরিস্থিতি সামলাতে সরকার বিদ্যুতে রেশনিংয়ের উদ্যোগ নিয়েছে। ঘোষণা দিয়ে লোডশেডিং করছে।