ঈদযাত্রা শুরু হয়ে গেছে। রেলপথে স্বস্তির যাত্রা হলেও সড়কপথে দেখা দিয়েছে দুর্ভোগ। পদ্মা সেতু দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ এবার যাচ্ছেন সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ী এলাকা হয়ে। এ পথে ব্যাপক যানজট। শঙ্কা সত্যি হলো। পদ্মা সেতুমুখী সব গাড়ি হানিফ ফ্লাইওভার, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী হয়ে চলায়, ওই এলাকাগুলোয় যানজট হচ্ছে ঈদযাত্রায়।আজ বৃহস্পতিবার ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে যাত্রীর ঢল নামলে যানজট আরও বাড়বে। একই অবস্থা টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার পথ যেতে দুই-আড়াই ঘণ্টা লেগেছে। এ পথ হয়ে চলা উত্তরবঙ্গের যাত্রীদেরও ভুগতে হয়েছে। তবে জয়দেবপুর চৌরাস্তার আগে ভোগড়া থেকে চন্দ্রামুখী মহাসড়কে যানজট ছিল না। রোজার ঈদের চারদিন আগে ছুটি শুরু হয়েছিল। এবার ছুটি দুদিন আগে থেকে। আজ সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুর এলাকার কলকারখানা ছুটি হবে। লাখ লাখ কর্মীর ঢল নামবে। এতে যানজট সৃষ্টির তীব্র আশঙ্কা রয়েছে ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কের গাজীপুর, টাঙ্গাইল অংশে। ঈদুল আজহায় কোরবানির পশু নিয়ে আসা গাড়ি ফিরতি যাত্রায় গ্রামে যাত্রী নিয়ে যায়। এতে যানজট ও দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে। ঈদযাত্রায় রাজধানীর প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে যানজটের শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। তারা জানান, উত্তরবঙ্গে যাতায়াতের অন্যতম পথ উত্তরা, টঙ্গী ও গাজীপুর সড়কে বড় বড় গর্ত রয়েছে। সেখানে এখনই যানজট হচ্ছে। সায়েদাবাদ এলাকায় সিটি করপোরেশনের কাজ চলায়, সেখানে একই ধরনের সমস্যা রয়েছে।
পদ্মা সেতুর কারণে সায়েদাবাদ ও আশপাশ এলাকায় গাড়ির চলাচল বেড়েছে। ঈদে তা আরও বেড়ে যানজটের তৈরি হতে পারে। এমনকি মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে তা চলে আসতে পারে। এ ছাড়া মেঘনা সেতু, বঙ্গবন্ধু সেতু ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কের টোলপ্লাজায় টোল দিতে গিয়ে গাড়ির দীর্ঘ সারি হতে পারে। রাজধানী থেকে পদ্মা সেতু যাওয়ার পথ মাত্র একটি হওয়ায় সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী ও কাঁচপুরে যানজটের শঙ্কা রয়েছে।ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দিয়ে ঈদে ঘরমুখী মানুষের যাত্রা শুরু হয়েছে। সকাল থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রায় ঈদে ঘরমুখী মানুষেরা বাড়ি যেতে ভিড় করছেন। অনেকেই পর্যাপ্ত যানবাহন ও বেশি ভাড়ার কারণে যেতে নানাভাবে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। মহাসড়কে বিপজ্জনকভাবে অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে । এদিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে টঙ্গীতে ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ রয়েছে। তবে টঙ্গী থেকে চন্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ধৌড় এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনার কারণে টঙ্গীমুখী যানবাহন চলাচলে চাপ রয়েছে ।