NEWSTV24
পদ্মাসেতু আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করেছে: প্রধানমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার, ০৯ জুন ২০২২ ১৬:৪১ অপরাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

নানা চাপ, মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্রের মধ্যেও পদ্মাসেতু নির্মিত হওয়ায় বাঙালির মধ্যে আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা।বুধবার জাতীয় সংসদে পদ্মাসেতু নিয়ে আনা একটি প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।জাতিকে পদ্মাসেতু উপহার দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাতে ওই প্রস্তাব আনা হয়। প্রস্তাবটি সংসদে আনেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। দিনের অন্যসব কার্যক্রম স্থগিত রেখে বিকাল সোয়া পাঁচটায় এই আলোচনা শুরু হয়। শেষ হয় রাত সাড়ে ১১টায়।শেখ হাসিনা বলেন, নানা চাপ, মিথ্যা মামলা ও ষড়যন্ত্রের মধ্যেও পদ্মাসেতু নির্মান আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করেছে, আমরা পারি। ভবিষ্যতে আরো ভাল কাজ করতে পারবো। প্রযুক্তি সম্পর্কে দেশের মানুষের জ্ঞান হয়েছে। ভবিষ্যতে আমরা আরো উন্নত কাজ করতে পারব।তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নিজেরা পারে, এটা সারাবিশ্বে দেশের মর্যাদা উজ্জ্বল করেছে।

ধন্যবাদ প্রস্তাবনায় সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও তার জোট শরিক ও প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ ৩৮ জন সদস্য বক্তব্য রাখেন। এরমধ্যে বিএনপির দুজন হারুনুর রশীদ ও রুমিন ফারহানা ছাড়া সবাই পদ্মাসেতু নির্মানে সরকারের অসামান্য সাফল্যের ভূয়াসী প্রশংসা করেন।তারা বলেন, এই সেতু নিয়ে দেশে বিদেশে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। নিজেদের টাকায় এই সেতু নির্মাণ করে তাদের সমুচিত জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সেতু শুধু সেতু নয়, এটি প্রকৌশল জগতে এক বিস্ময়। পদ্মাসেতু নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগকারীদের কঠোর সমালোচনা করেন বক্তারা।আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মাসেতু নির্মানে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি ড. ইউনুস বেআইনিভাবে ৭১ বছর পর্যন্ত এমডি পদে ছিলো। তাকে কোনো অপমান করা হয়নি। বরং তাকে ব্যাংকের উপদেষ্টা এমেরিটাস হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাকে এমডি থাকতে হবে।ড. ইউনুসের সমালোচনায় তিনি বলেন, ১৯৯৮ সালের বন্যার সময় গ্রামীণ ব্যাংককে আমরা ৪০০ কোটি টাকা দিয়েছিলাম। গ্রামীণ ফোনের লাভের টাকা ব্যাংকে যাওয়ার শর্ত ছিলো কিন্তু তিনি তার একটি টাকাও ব্যাংককে দেয়নি। বরং গ্রামীণ ব্যাংকের যত টাকা সব কিন্তু তিনি নিজে খেয়ে গেছেন। না হলে একজন ব্যাংকের এমডি এত টাকার মালিক হয় কীভাবে? দেশে বিদেশে এত বিনিয়োগ করে কীভাবে? ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে লক্ষ লক্ষ ডলার কীভাবে অনুদান দেয়? কার টাকা দিল? কিভাবে দিল-সেটা তো কেউ খোঁজ নিলো না।