NEWSTV24
খাদ্যদ্রব্যে অনিয়ম করলে ৫ বছর জেল, হচ্ছে নতুন আইন
মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল ২০২২ ১৪:৩৭ অপরাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুদ ও বিতরণে ক্ষতিকর কার্যক্রম ঠেকাতে নতুন একটি আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এতে অনিয়মের সাজা হিসেবে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শেখ হাসিনা। পরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, নতুন আইনটির নাম দেওয়া হয়েছে খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুদ, স্থানান্তর, পরিবহণ, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন ২০২২ । দ্য ফুড গ্রেইন সাপ্লাই প্রিভেনশন অব প্রিজুডিশিয়াল অ্যাকটিভিটি অর্ডিন্যান্স, ১৯৭৯ এবং ফুড স্পেশাল কোর্ট অ্যাক্ট, ১৯৫৬ এ দুটি আইনকে এক করে নতুন আইনটি করা হচ্ছে।

নুতন আইনটি সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এর মাধ্যমে বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে না, মান যাতে নিশ্চিত থাকে। কেউ যাতে অনৈতিক কাজ করতে না পারে, ক্রেতারা যাতে ঠকে না যায়। খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুদ, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন এবং এ সংক্রান্ত অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে কোনো অপরাধ যাতে না হয় সেগুলো প্রতিরোধ করার জন্য এই আইনটি আনা হয়েছে।তিনি বলেন, খসড়া আইনে কঠোর শাস্তির প্রস্তাব করা হয়েছে। কেউ যদি এই আইনের অধীনে অপরাধ করে, তবে সে সর্বোচ্চ ৫ বছর বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা যাবে। মন্ত্রিসভা বলে দিয়েছে, নিরাপদ খাদ্য আদালতই এগুলো দেখবে, আলাদা কোনো আদালত লাগবে না। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মোবাইল কোর্টেও বিচার করতে পারবে, যে জুরিসডিকশন ওই পর্যন্ত শাস্তি দিতে পারবে।মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোনো খাদ্যদ্রব্য যদি জব্দ করা হয়, সেই খাদ্য যদি পঁচনশীল হয়, সেই খাদ্যদ্রব্য নিলাম ডেকে বিক্রি করে শুধু স্যাম্পল হিসেবে অল্প একটু রাখা যাবে। খাদ্যপণ্য যদি পচনশীল নাও হয় তবেও ৪৫ দিনের মধ্যে নিলাম করে দিতে হবে, টাকাটা কোর্টের কাছে থাকবে। এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি যদি খালাস পান তবে টাকাটা তিনি পেয়ে যাবেন। আর দণ্ড পেলে আদালত যেভাবে আদেশ দিবে সেভাবে হবে।