NEWSTV24
কর্মবিরতি থামাতে কর্তাদের চাপ
শুক্রবার, ০৪ মার্চ ২০২২ ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীদের দাবি মেটানোর উদ্যোগ না নিলেও চলমান কর্মবিরতি থেকে সরে আসতে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের নানাভাবে চাপ দিচ্ছেন শীর্ষ কর্মকর্তারা। পদবি বদল ও বেতন গ্রেড উন্নীতকরণের কর্মসূচিকে সরকারবিরোধী আন্দোলন বলেও দমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কয়েকটি জেলার কর্মচারীদের বদলি ও চাকরিচ্যুত করারও হুমকি দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট জেলার ডিসি-এডিসিরা। এদিকে প্রায় সব জেলার কর্মচারীরা তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্ম বিরতি প্রত্যাহার না করার অনুরোধ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের।আজ বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের কর্মবিরতিতে কর্মচারীরা স্লোগান দিয়ে বলেন- বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই; আশ্বাস নয় প্রজ্ঞাপন চাই; পদ-পদবি পরিবর্তন করতে হবে-করে নাও; এক দেশে দুই নীতি চলবে না চলবে না। বাংলাদেশ বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের কর্মচারী সমিতি (বাবিককাকস) ও বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতির (বাকাসস) নেতাদের বুধবার সচিবালয়ে ডাকা হয়। এমন প্রেক্ষাপটে আগামী শনিবার সকাল ১০টায় ঢাকা কালেক্টরেট রিক্রিয়েশন ক্লাবে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে শীর্ষ কর্মকর্তাদের চাপ বিষয়ে আলোচনা করবেন তারা।

জানা যায়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা মাঠ প্রশাসনকে কর্মবিরতি থেকে সরিয়ে আনতে আজ ডিসিদের নির্দেশ দেন। এর পরই বিভিন্ন জেলার ডিসি কর্মচারীদের ডেকে আন্দোলন স্থগিত করে কর্মস্থলে যেতে বলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে কর্মচারীরা তাদের ন্যায্য দাবির কথা ডিসিদের সামনে তুলে ধরেন। তাদের বক্তব্য শুনে কয়েকজন ডিসি শীর্ষ কর্মকর্তাদের নির্দেশে আন্দোলন স্থগিত করতে বললেও দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। তবে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের তিনটি জেলার ডিসি ও এডিসি কর্মচারীদের আন্দোলন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, কর্মবিরতি দ্রুত প্রত্যাহার না করলে বিপদ হতে পারে। আন্দোলনে রাজনৈতিক কোনোসংশ্লিষ্টতা আছে কিনা, সেটাও খুঁজে দেখা হবে। যেসব জেলায় কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা চাকরি করছেন, সেসব জেলায় বেশি চাপ দেওয়া হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ জেলার ডিসি ড. ফারুক আহাম্মদ বলেন, কর্মচারীদের আন্দোলন প্রত্যাহার করতে বলেছি। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতির সভাপতি মো. আকবর আলী বলেন, গত মাসেও আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে কর্মসূচি পেছানো হয়েছে। এখন দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সুযোগ নেই। কিন্তু মাঠ প্রশাসনের নেতাদের নানাভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে।বেশ কয়েকটি জেলার ডিসি সমকালকে বলেন, কর্মচারীদের দাবি যৌক্তিক। দ্রুত তাদের পদবি বদল ও বেতন গ্রেড উন্নীত করা প্রয়োজন। এ জন্য তারা মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চিঠিও দিয়েছেন। তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে এখনও কোনো ব্যবস্থা নেননি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (প্রশাসন-৩) রিপন চাকমা সমকালকে বলেন, নতুন করে কোনো প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ বিভাগে পাঠানো হয়নি।