NEWSTV24
মুনাফা হারাচ্ছেন আমানতকারীরা
মঙ্গলবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ১৭:০৫ অপরাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

বেসরকারি খাতের ব্র্যাক ব্যাংক ডিসেম্বর মাসে আমানতকারীদের গড়ে বার্ষিক ২ দশমিক ৬৩ শতাংশ হারে সুদ দিয়েছে। একই মাসে সিটি ব্যাংক দিয়েছে ২ দশমিক ৮২ শতাংশ। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক দিয়েছে আরও কম, ১ দশমিক ৭০ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি ১০০ টাকা আমানতের বিপরীতে গড়ে ৩ টাকারও কম সুদ দিয়েছে ব্যাংকগুলো। এই সুদ থেকে সরকারের উৎস কর, আবগারি শুল্কসহ নানা রকমের চার্জ কাটা হচ্ছে। ফলে ব্যাংকে টাকা রেখে আমানতকারীদের প্রকৃত অর্থে কোনো লাভ হচ্ছে না। উল্টো মূল্যস্ফীতির উচ্চহারে জমানো আসল টাকাও কোনো কোনো ক্ষেত্রে ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে। এমন বাস্তবতায় সরকার ও ব্যাংকের নানা রকম চার্জের চাপে পড়ে আমানতকারীর মুনাফা আরও কমছে। আমানতে কম সুদের পাশাপাশি আবগারি শুল্ক ও উৎস কর কাটার ফলে অনেকে ব্যাংকে টাকা রাখতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।জানা যায়, কোনো গ্রাহক বাণিজ্যিক ব্যাংকে আমানত হিসাবে টাকা জমা রাখলে বছর শেষে যে মুনাফা দেওয়া হবে, তার ওপর উৎস কর কেটে নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে আমানতের বিপরীতে বছরে একবার আবগারি শুল্কও কাটা হয়। অন্যদিকে মহামারী করোনায় মানুষের আয় কমে গেছে। অনেক মানুষ বেকারও হয়েছেন। কিন্তু বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ও যাতায়াত ব্যয়, পানি, গ্যাস ও বিদ্যুতের চার্জ এগুলোর কিছুই কমেনি। আবার চাল, ডাল, তেলসহ সব ধরনের নিত্যপণ্যের দামও এখন চড়া। ফলে মূল্যস্ফীতির কারণে প্রকৃত আয় কমে যাচ্ছে মানুষের।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সাধারণ মানুষের বিনিয়োগের জায়গা এমনিতেই সঙ্কুচিত। শেয়ারবাজারে আস্থার সংকট রয়েছে। সঞ্চয়পত্রে নানা কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। ফলে মানুষ বাধ্য হয়েই ব্যাংকে টাকা রাখে। কিন্তু মূল্যস্ফীতির চেয়ে আমানতের সুদহার কম হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ বা আমানতকারী কখনো সংগঠিত হয়ে কোনো চাপ সৃষ্টি করতে পারে না। ফলে দিন দিন তাদের সঞ্চয়ের মূল্য কমে যাচ্ছে। এটা কল্যাণমুখী উন্নয়নের পরিপন্থী। এতে ঝুঁকিপূর্ণ খাতসহ বিভিন্ন অনুৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচিত শক্তভাবে তাদের নির্দেশনা ব্যাংকগুলোকে মানাতে বাধ্য করা। যদি বাজারে অতিরিক্ত তারল্যও থাকে, তা হলে রিভার্স রেপো করে সেই অর্থ তুলে নেওয়া।