আগামী ২২ ও ২৩ মার্চ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারিত্ব সংলাপ আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা। যুক্তরাষ্ট্র এতে সম্মতি দিলে ওই তারিখে হবে দুই দেশের অষ্টম সংলাপ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।কূটনৈতিক সূত্র জানায়, এবার সংলাপে অংশ নিতে ঢাকায় আসবেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড। এর আগে সপ্তম অংশীদারিত্ব সংলাপ ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ কারণে রেওয়াজ অনুযায়ী এবারের সংলাপ হবে ঢাকায়।সূত্র জানায়, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে অংশীদারিত্ব সংলাপের রাজনৈতিক গুরুত্ব ব্যাপক। এ কারণে একে রাজনৈতিক সংলাপও বলা হয়। সম্প্রতি গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র ;্যাব এবং এর সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় এ সংলাপের গুরুত্ব আরও বেড়েছে।এবারের সংলাপে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি প্রাধান্য পাবে। এ ছাড়া অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, তথ্যপ্রযুক্তি ও নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং রোহিঙ্গা সংকট ইস্যুকে গুরুত্ব দেবে ঢাকা। এর আগের সংলাপে উন্মুক্ত, স্বাধীন, অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ এবং নিরাপদ ইন্দো-প্যাসিফিক ভিশন অর্জনে উভয় দেশ সম্মত হয়েছিল। এবারের সংলাপেও বিষয়টি আলোচিত হবে।কূটনৈতিক সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এর আগের দুটি অংশীদারিত্ব সংলাপে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, মানবাধিকার পরিস্থিতি, শিশু অধিকার, শ্রম নীতিমালার বাস্তবায়ন, সংখ্যালঘুদের অবস্থা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক সহযোগিতার বিষয়টি তোলা হয়।সূত্র আরও জানায়, বাইডেন সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অন্য দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে র;্যাব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি কংগ্রেসে বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং গুম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ফলে এবারের অংশীদারিত্ব সংলাপে বিশেষভাবে মানবাধিকার এবং গণতান্ত্রিক অধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা তুলতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।