বিদ্যুৎ পেয়ে পাল্টে যাচ্ছে দুর্গম চর কিংবা প্রত্যন্ত পার্বত্য অঞ্চলের অনগ্রসর মানুষের জীবনযাত্রা। জাতীয় গ্রিডের বাইরে পার্বত্য চট্টগ্রামের ০.১৫ যে দুর্গম এলাকাগুলো রয়েছে, সেখানেও সোলার প্যানেলে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে পৌঁছে গেছে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে সেখানেও এগিয়ে চলছে কর্মযজ্ঞ। চলতি মাসের মধ্যেই শেষ হবে দেশে শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ। এর পরই দেওয়া হবে দেশজুড়ে শতভাগ বিদ্যুতের ঘোষণা।জানা গেছে, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে দেশে শতভাগ বিদ্যুতের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত শনিবার বিষয়টি জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন পটুয়াখালীর দুর্গম চর রাঙ্গাবালী ও পদ্মায় জেগে ওঠা চরগুলোতে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। একইভাবে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে বঙ্গোপসাগরে ভোলার দুর্গম চর কুকরিমুকরি ও মনপুরায়। সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে এসব বিচ্ছিন্ন এলাকায় নেওয়া হয়েছে বিদ্যুতের লাইন। এসব দুর্গম এলাকায় বিদ্যুৎ যাওয়ার পর পাল্টে গেছে সেখানকার দরিদ্র মানুষের জীবনযাত্রা। বিদ্যুৎ যাওয়ার পর সেখানকার মানুষের জীবিকা অর্জনে খুলে গেছে নতুন নতুন পথ।দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত ও পাকিস্তানের মতো প্রভাবশালী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই হতে যাচ্ছে প্রথম দেশ, যেখানে শতভাগ মানুষের ঘরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ। এ ছাড়া ভুটান সাড়ে সাত লাখ মানুষের ছোট দেশ হিসেবে শতভাগ বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে।জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা এই অনন্য অর্জনের কৃতিত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে। ২০০৯ সালের আগে বিদ্যুত্সংকটে দেশের অর্থনীতি ছিল ভঙ্গুর, শিল্প-বাণিজ্য ছিল স্থবির। লোডশেডিংয়ে জনজীবন ছিল অসহনীয়। তাঁরা বলছেন, বর্তমান সরকারের দূরদর্শী সিদ্ধান্তের ফলে বিদ্যুৎ খাতে এই অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে।