NEWSTV24
ঢাকায় যাত্রী সংকট চট্টগ্রামে ভিড়
বৃহস্পতিবার, ০৮ এপ্রিল ২০২১ ১৩:৫০ অপরাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশজুড়ে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের তৃতীয় দিনে রাজধানীসহ সিটি করপোরেশনগুলোয় তীব্র যাত্রী সংকটে ভুগেছে গণপরিবহণগুলো। একেবারেই যাত্রী কম থাকায় পরিবহণগুলো যত্রতত্র থামিয়ে রেখেছে। এতে যাত্রীদের গন্তব্যে যেতে অনেক বিলম্ব হয়েছে। ফলে বেড়েছে যাত্রীদের দুর্ভোগ। এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতা দেখা গেছে খুবই কম। তবে ঢাকার বাইরে অনেক সিটিতে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের পাশাপাশি বাড়তি ভাড়া আদায়ের ঘটনা ঘটেছে। চট্টগ্রামে আসনের অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হয়েছে। অনেক জেলায় চলেছে আন্তঃজেলা বাস।এদিকে আজ থেকে গণপরিবহণ চালুর তালিকায় যুক্ত হচ্ছে উবার রাইড শেয়ারিং (মোটরবাইক বাদে) সেবা।গত সোমবার থেকে সারা দেশে মানুষের চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। সোম ও মঙ্গলবার এই দুদিন গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় কর্মস্থলে যাতায়াতে কর্মজীবীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে সরকার বুধবার থেকে ঢাকাসহ ১২টি সিটি করপোরেশন এলাকায় সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গণপরিবহণ চলাচলের অনুমতি দেয়। এগুলো হচ্ছে : ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন।

বুধবার দেশের সিটি করপোরেশনগুলোয় সকাল-সন্ধ্যা গণপরিবহণ চালুর পর যাত্রী সংকটের মুখে পড়ে গণপরিবহণগুলো। ভোরের দিকে ৪-৫ জন যাত্রী নিয়ে বাস চলাচল করতে দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে যাত্রীর সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও সেটা ছিল খুবই নগণ্য। ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী বহনের সুযোগ থাকলেও ছিল তারচেয়ে অনেক কম। এভাবে গণপরিবহণ চলাচল করলে খরচের টাকাও উঠবে না বলে জানিয়েছেন পরিবহণ শ্রমিকরা।সংশ্লিষ্টরা জানান, সরকারি-বেসরকারি অফিস চলছে অর্ধেক জনবল দিয়ে। মার্কেট ও শপিংমলগুলো বন্ধ থাকায় মানুষের চলাচল অনেক কমে গেছে। এ ছাড়া দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকায় ঢাকার বাইরে মানুষের আসা-যাওয়াও নেই। ফলে গণপরিবহণগুলো যাত্রী সংকটে পড়েছে।এদিকে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধের টানা তৃতীয় দিনের মতো শপিংমল, মার্কেট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ব্যবসায়ীরা। এ দাবিতে রাজধানীসহ সারা দেশে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। বুধবার রাজধানীর গুলিস্তান ফুলবাড়িয়া মার্কেটের ব্যবসায়ীদের কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পালটাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যদিও এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এ ছাড়া মোটরবাইক চালকরা রাইড শেয়ারিং চালুর দাবিতে ঢাকার মগবাজার, ধানমন্ডি, খিলক্ষেত, মিরপুর ও জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন। তারা বলেছেন, বাস চালু করে দেওয়া হয়েছে। এখন মোটরবাইক চালু করলে সমস্যা কী। যাত্রী পরিবহণ করতে না-দেওয়ায় তাদের জীবনযাপন দুরূহ হয়ে পড়ছে।