NEWSTV24
শিক্ষার্থীর জন্য হচ্ছে ইউনিক আইডি পরে রূপান্তর হবে এনআইডিতে
মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ ২০২১ ১৫:১৯ অপরাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

সিভিল রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস (সিআরভিএস) বাস্তবায়নের আলোকে দেশের ৩ কোটির বেশি শিক্ষার্থীর জন্য ইউনিক আইডি (একক পরিচয়) দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। ৫ বছর বয়সী প্রাক-প্রাথমিক থেকে ১৭ বছর বয়সের দ্বাদশ শ্রেণির সব শিক্ষার্থী পাবে এ আইডি। এতে ১০ বা ১৬ ডিজিটের শিক্ষার্থী শনাক্ত নম্বর থাকবে। যেসব তথ্য ওই শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরিতে আলাদা করে তথ্য সংগ্রহ করার প্রয়োজন হবে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা  জানান, বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) আইইআইএমএস প্রকল্পের মাধ্যমে এ পদ্ধতি চালু করা হবে। এ প্রকল্পের আওতায় ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীর ডেটাবেস প্রস্তুত করে তাদের ইউনিক আইডি কার্ড দেওয়া হবে। এ জন্য শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহের কাজ সফলভাবে বাস্তবায়নে মাঠপর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি দেওয়া ও ডেটাবেস প্রস্তুতের কাজ শিগগিরই শুরু হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ, সব অধিদপ্তর-শিক্ষা বোর্ড ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য সমন্বিত শিক্ষা তথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক গতকাল  জানান, মাউশি থেকে তথ্য চেয়ে সব আঞ্চলিক শিক্ষা অফিসে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ব্যানবেইসের আইইআইএমএস শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুটি বিভাগ এবং এর আওতাধীন সব সংস্থা, অধিদপ্তর, শিক্ষা বোর্ড এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য সমন্বিত শিক্ষা তথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় সিভিল রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস (সিআরভিএস) ব্যবস্থার আলোকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সব শিক্ষার্থীর ডেটাবেস প্রস্তুত এবং ইউনিক আইডি প্রদান কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হবে। এ জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে নির্ধারিত ছকের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মৌলিক তথ্য ও শিক্ষাসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের পর ডেটা এন্ট্রির কাজ সম্পন্ন করতে হবে। তাই আঞ্চলিক, জেলা, উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তা এবং সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের শিক্ষার্থীদের সঠিক তথ্য দিয়ে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এ কাজ সফলভাবে বাস্তবায়নে সহযোগিতা করতে বলেছে শিক্ষা অধিদপ্তর।